হুমায়ুন কবির সোহাগ কালীগঞ্জ(ঝিনাইদহ) প্রতিনিধি :

ঝিনাইদহ জেলার একমাত্র ভারী শিল্প প্রতিষ্ঠান হলো মোবারকগঞ্জ সুগার মিলস লিমিটেড।ব্রিটিশ আমলে নির্মিত এই শিল্প প্রতিষ্ঠানটি আজও কালের সাক্ষী হয়ে দণ্ডায়মান রয়েছে। বাংলাদেশে ১৫ টি চিনিকল থাকলেও আধুনিকায়নের জন্য গেল নভেম্বর ২০২০ থেকে বন্ধ রাখা হয়েছে সরকারের ছয় চিনিকল। উৎপাদনে থাকা বাকি ৯টি চিনিকলও চলছে নানা ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখে। চিনি শিল্পের চ্যালেঞ্জিং এই সময়ে মোবারকগঞ্জ সুগার মিলস লিমিটেডের বর্জ্য পানির বহুল ব্যবহার নিশ্চিতকল্পে বাংলাদেশ পরিবেশ অধিদপ্তরের অর্থায়নে একটি পানি শোধনাগার তৈরি করা হয়। এটি মোচিক মেইন গেইট ও খুলনা কুষ্টিয়া মহাসড়কের পাশে এবং কারখানার পেছন দিকে নির্মিত হয়েছে। অত্যন্ত দুঃখজনক হলেও সত্য নির্মিত এই পানি শোধনাগার স্থাপনাটির একটি হাউজ চালু হওয়ার পূর্বেই পাশে হেলে পড়েছে। প্রকল্প পরিচালক শহিদুল করিম জানান, বাংলাদেশের মোট ১৪ টি সুগার মিলে ১ টি করে মোট ১৪ টি পানি শোধনাগার তৈরি ৮৫ কোটি টাকায় একটি বাজেট একনেকে পাস হয়। এই প্রকল্পের অর্থায়নে মোবারকগঞ্জ সুগার মিলেও একটি বর্জ্য পানি শোধনাগার এর কনস্ট্রাকশন ও মিশনারীজের কাজ সম্পন্ন হলেও এখন অব্দি ট্রায়াল হয় নাই। আমি জানতে পেরেছি মোবারকগঞ্জ সুগার মিলে পানি শোধনাগার এর একটি ট্যাংক কাত হয়ে পড়েছে।খুব শীঘ্রই সেটি পুন:নির্মাণ এর কাজ শুরু হবে।মূলত ঐ স্থানের মাটির দূর্বলতা ও বৃষ্টির মধ্যে নির্মাণ কাজ করায় এমটি হয়েছে।প্রকল্পের অর্থ পুন:বরাদ্দ হলে মাল কিনে এইটা ট্রায়েল দিয়ে পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র নিয়ে চালু করতে হবে। মোবারকগঞ্জ সুগার মিলস লিমিটেড এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাকিবুর রহমান খান জানান,সদ্য নির্মিত পানি শোধনাগারের একটি ট্যাংক হেলে পড়ার ঘটনাটি অত্যন্ত দুঃখজনক। আমি সরোজমিনে গিয়ে সেটি দেখে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে একটি চিঠি ইস্যু করি।এব্যাপারে দায়িত্বশীল ব্যাক্তি জানিয়েছেন হেলে পড়া ট্যাঙ্কটি পুনরায় নতুন করে তৈরি করে দিবেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here